স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সহিংসতা চলছে। পুড়ছে মানুষ। প্রাণ হারাচ্ছে জনগণ। বর্তমান চলমান সহিংসতায় জানুয়ারি মাসে ক্রেতাদের বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও তারা আসতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে ক্রেতারা অন্যদেশে অর্ডার দিয়ে দিচ্ছে। একবার অর্ডার অন্য দেশে চলে গেলে তা ফিরিয়ে আনা কষ্টকর হবে।
জানুয়ারি মাসে যেখানে নতুন অর্ডার আসার কথা ছিলো সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতায় নতুন অর্ডার তো আশানুরূপ আসেনি বরং পুরানো অর্ডারের মধ্যে ৩৮ লাখ ডলার মূল্যের অর্ডার বাতিল হয়েছে এমবি নিট ফ্যাশনের।
ক্যাশিও ও কেইলার নামক দুটি ক্রেতা রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্ডার সাপ্লাই দিতে পারবো কিনা সন্দেহে প্রায় ৩৮ লাখ ডলার মূল্যের অর্ডার বাতিল করেছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। বর্তমানে তাদের কর্মী সংখ্যা প্রায় ৮শ’। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকতো তাহলে যে পরিমাণ অর্ডার আসতো তাতে তারা আরও প্রায় ৮শ’ নতুন শ্রমিককে চাকরি দিতে পারতেন।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেই মূলত পুরো বছরের পোশাক রফতানির অর্ডার আসে বাংলাদেশে। আর প্রায় পুরো মাস ধরে চলমান অবরোধে ৪০ শতাংশ অর্ডার কম এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
এমন অবস্থা লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ বলে জানান পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ এর নেতৃবৃন্দ।
বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি (অর্থ) রিয়াজ-বিন-মাহমুদ সুমন বলেন, অর্ডার পাওয়ার এই সময় হরতাল অবরোধে তেমন কোনো ক্রেতাই বাংলাদেশে আসতে পারেনি এটা সত্যি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আশানুরূপ অর্ডার পেত বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা। এতে করে পোশাক রফতানির ২৭ বিলিয়ন ডলারের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছিলো তার থেকে অনেক বেশি আমরা অর্জন করতে পারতাম।
বিজিএমইএ এর এই নেতা আরও বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আমরা ঠিক মতো অর্ডার সাপ্লাই দিতে পারবো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। যে পরিমাণ অর্ডার একজন ক্রেতা স্বাভাবিক অবস্থায় দিতেন তার থেকে কম পক্ষে ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ কম দিচ্ছেন। ফলে নতুন যে লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতো তা হারাচ্ছে বাংলাদেশ।