সময় সংবাদ বিডি ঢাকা || ইসলামিক ডেস্ক || মুসলিম উম্মার জন্য ঈদুল আজহা গুরুত্বপূর্ণ। এই ঈদে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানি করতে হয়। কুরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপুর্ন ইবাদত। পবিত্র কুরআন -হাদিসে কুরবানি গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। কুরবানি ঈদুল আজহার দিন সামর্থ্যবান মুসলমানদের আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি করেন।
রাসুল ( সা.) হিজরতের পর প্রতি বছর কুরবানি করেছেন। পবিত্র কুরআনে সুরা হজের ৩৪ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কুরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুষ্পদ জন্তু জবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব, তোমাদের আল্লাহর তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তারই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীদের সুসংবাদ দাও।
কুরবানি কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি। সুরা হজের ৩৯ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, কুরবানি গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না বরং কুরবানির মধ্যে দিয়ে তোমাদের তাকওয়া – পরহেজগারি বা আল্লাহ ভীতিই তার কাছে পৌঁছে।
মুসলিম সমাজে কুরবানিতে অন্যকে শরিক করার প্রচলন রয়েছে। কুরবানির ইবাদত কাউকে শরিক করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, এক্ষেত্রে অংশীদার নির্বাচন করতে হয় প্রত্যেককে ভালোভাবে জেনে -বুঝে। শরিকের কারও নিয়তি গলদ হলে কারও কুরবানিই ( অন্য শরিকদের কারও কুরবানি) শুদ্ধ হবে না।
( বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৮ কাজিখান;৩/৩৪৯) সম্পুর্ন হালাল সম্পদ থেকে কুরবানি করতে হবে। কোন প্রকার হারাম টাকায় কুরবানি করা শুদ্ধ নয় এবং এক্ষেত্রে একজনের টাকা হারাম হলে অন্যদের কুরবানিও শুদ্ধ হবে না।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহতায়ালার পবিত্র, তিনি হালাল ও পবিত্র ব্যতীত কোনোকিছু গ্রহণ করেন না।’ ( সহিহ মুসলিম: ২২১৫) এই হাদিসে বিষয়টি স্পষ্ট, কোরবানির পশু ক্রয় করার আগে অন্য শরিকদের নিয়ত ও হালাল টাকা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। অন্যথায় কুরবানির পশুতে কারও হারাম টাকা অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতে পারে। এতে কোন শরিকের কুরবানিই শুদ্ধ হবে না। কারও অংশ অন্যের অংশ থেকে কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারও দেড় ভাগ। এমন হলে কোন শরিকের কুরবানি শুদ্ধ হবে না।
( বাদায়েউস সানায়ে:৪/২০৭) উট,গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ভাগে কুরবানি করা জায়েজ। ( মুসলিম:১৩১৮ ; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭ । উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। (মুআত্তা মালেক: ৭৫৪) উল্লেখ্য, তিন শ্রেণির চতুষ্পদ জন্তু দিয়ে কোরবানি করা যায়। যেমন- ১. ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। ২. গরু, মহিষ। ৩. উট।