সময় সংবাদ বিডি,রাজশাহী :
রাজশাহী মহানগরীর মহিতারের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান ইয়ামিন (৩৫)বাম হাত ও বাম পায় ও ছাত্রলীগ কর্মী ইশতিয়াক হোসেন ইশার (২৪) দুই হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিনোদপুরে কমেলা হক ডিগ্রি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে বিনোদপুর বাজারের কমেলা হক ডিগ্রি কলেজের সামনে ইয়ামিন ও ইশতিয়াকসহ চার-পাঁচজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় আকস্মিকভাবে জামায়াত-শিবিরের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে এসে বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর সেখানে গুলিবর্ষণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্যরা পালিয়ে যায়। বোমা ও গুলিতে আহত হন বনি ইয়ামিন এবং ঈশা। জামায়াত-শিবির কর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইয়ামিনের বাম হাত ও বাম পায়ের রগ কেটে দেয়। এ ছাড়া ডান পায়ের নিচের অংশে খুব কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলি করে। ঈশার ডান পায়ে গুলির আঘাত রয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঈশার দুই হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে গেছে।
এ ঘটনার পর জামায়াত-শিবির কর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তারা যাওয়ার পর স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই আহত নেতাকে দেখতে হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ অন্য নেতা-কর্মীরা।
ডাবলু সরকার জানান, ইয়ামিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম জানান, ইয়ামিনের বাম পায়ের গোড়ালি ও বাম হাতের কবজিতে গুরুতর জখম আছে। তার রগের কতোটা ক্ষতি হয়েছে তা দেখা হচ্ছে। এছাড়াও ঈসার দুই পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হবার মত চিহ্ন আছে।
মহানগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ জানান, হামলার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে শিবির ক্যাডাররা জড়িত। তারা কৌশলে হামলা করে রাতের আঁধারে পালিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত জামায়াত-শিবির কর্মীদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।