স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ বর্তমান সময়ে মানুষের ঘুমের পরিমাণ এতোই কমে গেছে যে “বেশি ঘুম” ব্যাপারটা কি তা ভুলেই গেছেন অনেকে। বেশি ঘুমালেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থেকে যায় অনেক।
শুধু তাই নয়, এতো বেশি ঘুমানোর ফলে বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারেন আপনি।
১) বাড়তে পারে বিষণ্ণতার ঝুঁকি
২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় লম্বা সময় ঘুমানোর কারণে মানুষের বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
২) মস্তিষ্কের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে
২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, বেশি সময় ধরে ঘুম বৃদ্ধ নারীদের মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। ছয় বছর সময়সীমার মাঝে দেখা যায়, যাদের ঘুমের পরিমাণ বেশি তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা অন্যদের চাইতে দ্রুত হ্রাস পায়।
৩) গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়
২০১৩ সালে কোরিয়ার এক গবেষক দল ইন ভিট্রো ফারটিলাইজেশনের আওতায় থাকা ৬৫০ জন নারীর ঘুমের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায়, ৬-৮ ঘন্টা যারা ঘুমান তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা সর্বোচ্চ আর ৯-১১ ঘন্টা যারা ঘুমান তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা সর্বনিম্ন।
৪) ডায়াবেটিস দেখা দেবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়
কুইবেকের এক গবেষণা থেকে দেখা যায়, আট ঘন্টার বেশি ঘুমের অভ্যাস থাকলে টাইপ টু ডায়াবেটিস বা ইমপেয়ারড গ্লুকোজ টলারেন্সের ঝুঁকি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
৫) ওজন বেড়ে যেতে পারে
কুইবেকের ওই একই গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকেন তারাই থাকেন ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী। এর চাইতে কম বা বেশি ঘুমানোর অভ্যাস যাদের থাকে, তাদের মাঝে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা যায়।
৬) দেখা দিতে পারে হৃদরোগ
২০১২ সালে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির এক মিটিং এ প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্যে বলা হয় আট ঘন্টার বেশি ঘুমালে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এই গবেষণায় ৩০০০ মানুষের ঘুমের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং দেখা যায় অতিরিক্ত ঘুমালে অ্যানজিনা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় দ্বিগুণ এবং করোনারি আর্টারির রোগ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ১.১ গুণ।
৭) কমে যেতে পারে আয়ু
২০১০ সালে ১৬টি গবেষণার তথ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, রাত্রে আট ঘন্টার বেশি ঘুমানোর ফলে আয়ু কমে যেতে পারে ১.৩ গুণ।