এ ঘটনায় স্থানীয় সুধীমহল উভয়পক্ষকে সমাধানের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়। সমস্যা সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রংপুর সদর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, কারমাইকেল কলেজের সাবেক ভিসি আলাউদ্দীনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে যান।
আলোচনার এক পর্যায়ে তারা অনশনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকেন। এসময় ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর আন্দোলনকারীদের পক্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়ে নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর করে।
এতে বাধা দিলে পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১০ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক তাবিউর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শরিফুল ইসলামসহ ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীসহ ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, এ ঘটনার জন্য উপাচার্য দায়ী। তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবব্দুল কাদের জিলানী জানান, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, গাড়ি ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হালকা লাঠিচার্জ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।