স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ বিশ্বমঞ্চে লাল-সবুজদের হয়ে রেকর্ড রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিল মাশরাফি বাহিনী। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১১ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা।
তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান আর সাব্বির রহমানের ব্যাটে সহজ এই জয় পায় টাইগাররা।
তবে শুরুটা ভালো ছিলনা বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জোস ড্যাভের বলে উইকেটের পিছনে ক্রুসের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন সৌম্য (২ রান)।
তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তামিম-রিয়াদ জুটি ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি গড়ে দলীয় স্কোর ১৪৪ এবং ৫ চার ও এক ছক্কায় ক্যারিয়ারের ১২তম অর্ধশতক হাঁকিয়ে সাজ ঘরে ফিরেন রিয়াদ।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৮তম অর্ধশতক করে ড্যাভের বলে এলবি’র ফাঁদে পড়ে বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল ৯৫ রান করে ফেরেন। তামিমের এ ইনিংসটি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের একক ইনিংস সর্বোচ্চ রান।
দলীয় ২০১ রানের মাথায় টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ফিরে গেলে ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। ওয়ার্ডল’র বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২০তম অর্ধশতক তোলা মুশফিক বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৬০ করে। ৪২ বলের মুশফিকের এ ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর দুটি ছয়।
দলকে জয়ের বন্দরে নিতে সাকিব অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে। আর সাব্বির ৪২ রান করে সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দেন।
পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেট হারিয়ে ৬২ রান। ২০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান। আর ৩০ ওভার শেষে টাইগাররা তোলে দুই উইকেটে ১৯১ রান। ৪০ ওভার শেষে টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে টাইগাররা তোলে ২৫২ রান।
এরআগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্কটল্যান্ড ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩১৮ রান। স্কটিশদের হয়ে ১৫৬ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলেন ওপেনার কোয়েটজার।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলিং ব্যর্থতার মাঝেও তাসকিন আহমেদ নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া নাসির হোসেন পান দুটি উইকেট। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি ও সাব্বির পান একটি করে উইকেট।
কোয়েটজার আউট হওয়ার আগে ১৩৪ বলে ১৭টি চার আর চারটি ছয়ে করেন ১৫৬ রান। এর আগে রুবেল হোসেনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক পূর্ণ করেন কোয়েটজার। আর এটিই স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম সেঞ্চুরি।