
স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মি. মা মিংকিয়াংয়ের সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। এর পাশাপাশি চীন বাংলাদেশের এক নম্বর আমদানি গন্তব্যে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিকভাবে চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও উন্নয়ন অংশীদার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক্ষেত্রে আরো গতি পেয়েছে।
২০১৩ সালে শুধুমাত্র বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলেই চীনের বিনিয়োগ ১.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ প্রকল্পসহ বর্তমানে বেশ কয়েকটি মেগা বিনিয়োগ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
এগুলো সমাপ্ত হলে দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, চীন বাংলাদেশের এক নম্বর বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশি প্রায় সকল রপ্তানি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ায় চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ চীনে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর বাস্তবায়ন হলে, বাংলাদেশ বিশেষভাবে লাভবান হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার যেসব বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে তাতে শিল্প স্থানান্তরের জন্য চীনা উদ্যোক্তাদের জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলোর উন্নয়নে অংশীদারিত্ব জোরদার করার লক্ষ্যে চীন কাজ করছে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো অর্থনৈতিকভাবে ধনী হলে, চীনের উন্নয়ন প্রচেষ্টা সফল হবে।
তিনি চীনকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে চীনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও গভীর হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।