সময় সংবাদ বিডি,রাজশাহী:-
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাটাখালি বাজারে পুলিশের গুলিতে শাহাবুদ্দিন নামে এক শিবির নেতা নিহত হয়েছে।নিহত শিবির নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের তথ্য সম্পাদক ও ক্রপ সায়েন্স বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কাটাখালি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাটাখালি বাজারে শিবিরের তথ্য সম্পাদক শাহাবুদ্দিন, বিনোদপুর মেস শাখার সভাপতি মফিজুর রহমান ও শহীদ হবিবুর রহমান হল সভাপতি হাবিবুর রহমান মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় কাটাখালি পৌরসভার সামনে তাদেরকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ। আটক করার পর তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরে রাত আড়াইটার দিকে একজনকে মৃত ও বাকি দুজনকে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রামেকে ভর্তি করে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের প্রচার সম্পাদক ফরহাদ রেজা বলেন, রাত পৌনে ১০ টার দিকে কাটাখালি বাজার দিয়ে আসার সময় পুলিশ তাদের আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তাদের পরিবারসহ আমরা বারবার তাদের অবস্থান জানতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে আটক করার কথা অস্বীকার করে। পরে রাত আড়াইটার দিকে রামেকে শাহাবুদ্দিন ভাইকে তারা মৃত ও বাকি দুইজনকে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করে।
এদিকে, এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শুত্রবার এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, কোন অভিযোগ ছাড়াই রাত ৮টায় তিন শিবির নেতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শাহাব উদ্দিন, ফলিত গনিত বিভাগের ছাত্র হাবিবুর রহমান ও আরবী বিভাগের ছাত্র মফিজুর রহমানকে কাটাখালী পৌর সভার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার করায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্ধেগ প্রকাশ করে এবং তাদের নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে পুলিশ, সরকার ও গণমাধ্যমের কাছে বিবৃতি প্রদান করা হয়।
এর পরও অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে তিন জনকেই গভীর রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে পুলিশ। মারাত্নক আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও রাবি শিবিরের তথ্য সম্পাদক শাহাব উদ্দিন ইন্তেকাল করেন। অন্য দুই জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
তারা আরো বলেন, নিরাপরাধ মেধাবী ছাত্রদের উপর ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পুলিশ যে অমানবিক নির্মমতার পরিচয় দিয়েছে তাতে দেশবাসী আজ বাকরুদ্ধ। এই পরিকল্পিত ও নৃশংস রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এই বর্বর হত্যাকান্ডে ছাত্রসমাজ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এই বর্বরতা কোন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হতে পারেনা। বরং তা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের কাজ।