বাড়িঅপরাধ ও দুর্নীতিপাঁচ আগস্ট ছাত্রদের উপরে গুলি চালানো তরিক ও তার বাহিনী আত্নগোপনে

পাঁচ আগস্ট ছাত্রদের উপরে গুলি চালানো তরিক ও তার বাহিনী আত্নগোপনে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহীতে ছাত্রদের উপর ক্যাডার বাহিনী গুলিবর্ষণ করে। এতে ওই দিনে রানীনগরের শাকিব এবং পরে পুঠিয়ার রায়হান নামে দুইজন ছাত্র নিহত হয় এবং আহত হয় আরো অর্ধশতাধিক ছাত্র। ঐদিন রাজশাহীর ক্যাডার ও কিশোর গান বাহিনীর অন্যতম গডফাদার টিটু সহ রুবেল বাহিনী ও তরিক বাহিনীর সবাই সিসি ফুটেজে ধরা পড়ে। সিসি ফুটেজে দেখা যায় রুবেল পিস্তল দিয়ে ফায়ারিং করছে এবং তরিকও ফায়ারিং ও ককটেল ছুড়ছে ছাত্রদের উপর। তরিকের পরনে ছিল সাদা শার্ট ও অ্যাস কালারের জিন্সের প্যান্ট পায়ে ছিল কালো জুতা।
এইমাসের ১৩ তারিখ রাতে সন্ত্রাসী রুবেলকে যাত্রবাড়ীতে র‌্যাব-৫ এর যৌথ অভিযানে তাকে কুমিল্লার দাউকান্দি ব্রিজের উপর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাকে রাজশহীতে এনে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রুবেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও তার অন্যতম সহযোগী তরিক এখন পর্যন্ত আটক হয়নি। এই নিয়ে এলাকাবাসী ভিতরে আতনকো সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় তরিক বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো নিয়মিত। গত মাসের ৫ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তরিক আত্নগোপনে ।

এর আগে ১৬ই জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগ নেতাদের রুম থেকে কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়। সেই দিন তরিক বাহিনীর তরিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়ে। সেদিন সে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের অস্ত্র সাপ্লাই করতে গিয়েছিল। এতে সেদিন তার নিজের মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। এই দিন সে যে জামাও প্যান্ট পরিহিত ছিল একই জামা প্যান্ট ৫ ই আগস্ট তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু সেদিন সে মুখে মাক্স পরিহিত ক্যামেরার সামনে ধরা পড়ে। ৫ই আগস্ট ঐদিন ক্যামেরার সামনে ধরা পড়ে টিটু হলুদ গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় এবং তরিক বাহিনীর আর এক সদস্য সনেট ধরা পড়ে সাদা ও কালো রঙের গেঞ্জি পরা অবস্থায়।

তরিকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী নানা অভিযোগ আনে।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মহিষবাথান থেকে ডিবি পুলিশের অভিযানে পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগজিনসহ গ্রেফতার হন তরিক।জামিনে বের হয়ে স্থানীয় উঠতি সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীদের নিয়ে গঠন করে তরিক বাহিনী। কথায় কথায় গুলি ছোড়েন তরিক।এ কারণে তিনি শুটার তরিক নামেই পরিচিত। এই গ্যাং পরিচালনা করার জন্য সে আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগে যুক্ত হয়।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে তরিক বাহিনীর সকল সদস্যই আওয়ামী লীগের নির্দেশে ১৫ জুলাই হতে ৫ ই আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে শক্ত অবস্থান নেয়। রাজশাহীর বিভিন্ন পয়েন্টের সিসি ফুটেজ তদন্ত করলে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা যাবে বলে জানায় এলাকাবাসী। ৫ আগষ্টের পর থেকেই তরিকসহ তার বাহিনীর সকল সদস্যই গা ঢাকা দিয়েছে মামলার ভয়ে।

নাম প্রকাশ না করার সত্বে এলাকাবাসী বলেন, তরিক বাহিনী এই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগের নাম করে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক সরবরাহ, এবং নানা কুর্কীতি করতো তরিক এবং তার বাহিনী। এলাকাবাসী তরিক ও তার বাহিনীর আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Must Read

spot_img