স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ ৬ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ ও হরতালের কবলে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। পরিবহন মালিকদের সাথে বৈঠকে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসের পরও রাস্তায় বের হচ্ছে না গাড়ী।
চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী গাড়ীতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় ৭ যাত্রী নিহত এবং ফেনীর বিভিন্ন স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কিছুতেই আতংক কাটানো যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে রাত ৯ টার পর সড়কে বাস চলাচল না করতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
লাগাতার অবরোধ-হরতালের ফাঁদে পড়ে ফেনীর পরিবহন খাতে ক্ষতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বেকার হয়ে পড়েছে এ পেশায় জড়িত প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক। মানবেতর জীবন-যাপন করছে তাদের পরিবার।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রামের সাথে ফেনীর যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম সড়কপথ। এ পথে ফেনী থেকে প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে আসা-যাওয়া করে অসংখ্য গাড়ী। এছাড়া রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, সিলেট, বরিশাল ও রংপুরে যাতায়াত করে গাড়ি।
এসব কারণে গত ৩৬ দিনে বাস মালিকদের ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বাস-ট্রাক ও সিএনজি ট্যাক্সি মালিকদের।
ফেনী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতিদিন পরিবহন খাতে ক্ষতি হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। এতে করে ২ হাজার ৫শ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হতাহত হয়েছে বেশ কয়েকজন চালক-হেলপার। এতে করে হামলার আশঙ্কায় সড়কে যান চলাচল কমে গেছে। তিনি সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতা বৈঠকে বসার আহ্বান জানান।