সময় সংবাদ বিডি-দিনাজপুর:
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব-১৩ এর ৮ সদস্য সাদা পোশাকে আসামি ধরতে গেলে উল্টো এলাকাবাসী ডাকাত সন্দেহে তাদেরকে মারধর করে।
এ ঘটনার পর র্যাব সদস্যরা ৭টি গ্রামে নারী-পুরুষদের ব্যাপক মারধর ও বাড়িঘর তছনছ করে দিয়েছে। এরপর থেকে নির্যাতন ও গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামগুলো। স্থানীয় সংসদ সদস্য ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বেলাইচন্ডী গ্রামে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব-১৩ এর ৮ সদস্য সাদা পোশাকে আসামি ধরতে যায়। এসময় এলাকাবাসী ডাকাত সন্দেহে তাদেরকে ঘিরে ফেলে মারধর করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত র্যাব ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর বেলাইচন্ডী বাজার, হাজিপাড়া ও মাদ্রাসা ডাঙ্গাসহ ৭ গ্রামের নারী-পুরুষ সবাইকে বেধড়ক পিটিয়েছে র্যাব। নির্যাতন ও গ্রেফতার আতঙ্কে মানুষ শূন্য হয়ে পড়েছে বেলাইচন্ডী ইউনিয়ন। এলাকাবাসীরা জানান, এ ঘটনায় তারা আতঙ্কে দিন পার করছেন।
র্যাবের এই নির্যাতনে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বেলাইচন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, যাকে পাচ্ছে তাকেই মারছে র্যাব, আমাদের স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা ব্যবসায়িক কাজে যাচ্ছিলেন, তাকে ধরে মেরে মোটরসাইকেলটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে, এটি কোনো আইনের শাসন হতে পারেনা। ‘
ডাকাত সন্দেহে র্যাব সদস্যদেরকে আটকের কথা স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেনুল ইসলাম। এদিকে, নিরীহ গ্রামবাসী যেন শান্তিতে থাকতে পারেন এমন আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ।মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যাতে ঠিক থাকে সেজন্য সব কর্তৃপক্ষকে আমি বলেছি, আশাকরি পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। ‘
এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলাইচন্ডী ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব।