আকতার হোসেন, সময় সংবাদ বিডি-
কুমিল্লাঃ কুমিল্লার দেবীদ্বারে মাদক বিক্রয়ের অভিযোগে সুইপার পল্লীর এক নারীকে ৫ দিনের বিনা শ্রমে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) গোলাম কিবরিয়া একদল পুলিশ নিয়ে থানা সংলগ্ন রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল হাই স্কুল মাঠের কোনায় অবস্থিত সুইপার পল্লীতে অভিযান চালায়। অভিযানে ১০লিটার চোলাইমদ এবং মৃতঃ বলিয়া’র স্ত্রী মনি হরিজন(৪৫) নামে এক নারীকে মাদক সেবন অবস্থায় আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপার্দ করে।
আটক মনি হরিজন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দাউদ হোসেন চৌধুরীর নিকট মাদক বিক্রির দায় স্বীকার করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দাউদ হোসেন চৌধুরী মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৯০সালের ২২(ঘ) ধারায় মনি হরিজনকে ৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান পূর্বক জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
এদিকে মনি হরিজনকে গ্রেফতারের পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে সুইপার পল্লীর নারী-পুরুষ ও শিশুরা থানা কমপ্লেক্সের গেইটে অবস্থান ধর্মঘটে নামেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, থানা সংলগ্ন এবিএম গোলাম মোস্তফা পৌর মিলনায়তনের পাশে দেবীদ্বার মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের ভবনটি (বর্তমানে পরিত্যাক্ত) পৌরসভার সুইপারদের আবাসন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। সুইপার হরিজনরা মদ্যপায়ী হলেও তাদের সাথে যুক্ত হয় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, বখাটে, সন্ত্রাসী মাদক সেবীরা। তারা মাদক সেবনের পাশাপাশি নানা অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড সংগঠনের ফলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। বিষয়টি আইনশৃংখলা কমিটির মিটিংসহ বিভিন্ন ফোরামে আলোনায় আসায় প্রশাসনের টনক নড়ে। পুলিশ প্রভাবশালী মাদকসেবীদের সতর্ক করতেই অভিযান চালায়।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সুইপার পল্লীর হরিজনরা মাদক সেবনের পাশাপাশি মাদক ব্যবসা করে আসছিল। ওই পল্লীতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রভাবশালী যেই হোকনা কেন মাদক সেবনে কিংবা ওই এলাকায় অনৈতিক কর্মকান্ডে ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।