স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি মিলিটারি সার্ভিস একাডেমিতে শিক্ষার্থী সহ অন্যদের উপর যৌন অত্যাচারের ঘটনা কমেছে। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে এমন যৌন অত্যাচারের ঘটনাটি ঘটেছিল ৭০টি। ২০১৩-১৪ এ সংখ্যা কমে ৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পেন্টাগনের এ প্রতিবেদনে একটি জরিপের ফলাফল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওই জরিপেও একই ধরনের ফলাফল এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, যৌন অত্যাচারের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু অনেকে অভিযোগ করেছে, তারা অনাকাঙ্খিত যৌন সংস্পর্শে লিপ্ত হয়েছে।
ওই জরিপে বলা হয়েছে, ৪০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী বলেছে তারা অনাকাঙ্খিত যৌন সংস্পর্শে লিপ্ত হয়েছে। তারা বলেছে, তাদের প্রতি প্রতিশোধমূলক আচরণের অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে। তাদের নেতা বা ক্যাডেটরা এগুলো করেছে।
এছাড়া ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী যৌন অত্যাচারের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছে। এরা আবার স্বীকার করেছে, তারা প্রতিশোধমূলক আচরণের স্বীকার হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে দেশটির ডিফেন্স সেক্রেটারি চাক হেগেল বলেছিলেন, কর্মকর্তাদের নারীদের প্রতি প্রতিশোধমূলক আচরণের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, যখন কেউ যৌন অত্যাচারের ব্যাপারে অভিযোগ করতে তখন তাদের আলিঙ্গন করতে হবে তথা তাদেরকে আরও সাহায্য করতে হবে। তাদের শাস্তি দেওয়া যাবে না বা প্রতিশোধমূলক আচরণ করা যাবে না।
সেনাবাহিনীতে যৌন অত্যাচারের ঘটনা কমাতে ও অত্যাচারের শিকার শিক্ষার্থী ও নারীদের সেবা দিতে উচ্চ পর্যায়ের নেতা ও সাংসদদের কাছ থেকে পেন্টাগন চাপে রয়েছে।
২০১৪ সালের একটি জরিপে বলা হয়েছে, ৮ শতাংশ ছাত্রী ও ১ শতাংশ ছাত্র বলেছে, তারা অনাকাঙ্খিত যৌন সংস্পর্শ পেয়েছেন। ২০১২ সালে এ পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১২.৪ শতাংশ ও ২ শতাংশ।