বাড়িআন্তর্জাতিকতলানিতে পৌঁছা সম্পর্ক চাঙ্গা করতে ঢাকা সফরে মমতা

তলানিতে পৌঁছা সম্পর্ক চাঙ্গা করতে ঢাকা সফরে মমতা

momota2
অান্তজাতিক সংবাদ,সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ প্রায় তলানিতে পৌঁছে যাওয়া সম্পর্ক চাঙ্গা করতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিস্তার পানি বণ্টনের বিরোধিতা করেই ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে ঢাকা সফর শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছিলেন মমতা।
এছাড়া খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ এবং জামায়াতের সন্ত্রাসে তৃণমূল সাংসদের যুক্ত থাকার অভিযোগ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ক্রমশই মমতার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বাংলাদেশের।
মমতার ঢাকা সফর প্রসঙ্গে আগেই তাঁর সঙ্গে কথা সেরেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ঢাকার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকেরও আশা, এই সফরকে স্মরণীয় করে রাখতে সক্রিয়তা থাকবে মমতার।
তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিতে মত দেয়া নিয়ে একেবারে পাকাপাকি কোনও ঘোষণা না দিলেও, একটু নমনীয়তার ইঙ্গিতও যদি দেন মমতা, সেটাকেই বড় প্রাপ্তি বলে মনে করা হবে। কারণ, লোকসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে প্রচারে গিয়ে তিস্তা চুক্তির বিরুদ্ধেই কথা বলেছিলেন তিনি।
এই নয়মাসে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে। তৃণমূলের এক রাজ্যসভার সাংসদের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই সাংসদের হাত দিয়ে সারদা কেলেঙ্কারির অর্থ অবৈধ পথে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের কাছে পৌঁছেছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের নাম প্রকাশ্যে আসায় আরও অস্বস্তিতে পড়েছেন মমতা।
এসব কারণে বাংলাদেশের আওয়ামী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার মমতার কাছে জরুরি হয়ে পড়েছে বলে অনেক রাজনীতিকের মত।
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, মমতার ঢাকা আসার আগ্রহটাই প্রমাণ করে যে তিনি তিস্তা নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত।
আগামীকাল ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা।আলোচনায় পদ্মার ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাবেন মমতা।
কূটনৈতিক সূত্রে খবর, গত তিন মাস ধরেই বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ দেখিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিলেন মমতা। নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে আসা সংসদীয় প্রতিনিধি দলের কাছেও তিনি এ বিষয়ে উৎসাহ দেখান। ডিসেম্বরে দিল্লি ও কলকাতা সফরে আসা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকেও মমতা জানিয়েছিলেন তিনি ঢাকা যেতে চান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সময়েই বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তিটি নিয়ে আপত্তি তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সফরের আগে তিন দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে বন্দি বাংলাদেশিদের মুক্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য এবং শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ছাড়াও একুশে বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর দেখতে যাবেন মমতা।
এছাড়া রিকশা করে শহর ঘোরারও ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চেয়ার চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওই চেয়ারটির উদ্বোধনে হাজির থাকতে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Must Read

spot_img