স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃচাঞ্চল্যকর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ২ জনের খালাসের রায় দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন : খন্দকার আশিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, মাহবুব আকরাম ও খান মোহাম্মদ রইস। তবে তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।
এ মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে আর খালাস পেয়েছেন ২ জন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন : ইশতিয়াকক মেহবুব, মাজহারুল ইসলাম, শফিউল আলম, নাজমুস সাকিব, কামরুজ্জামান সোহাগ ও অভিনন্দন কুণ্ডু।
ইশতিয়াকক মেহবুব পলাতক আর বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
আর খালাস পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান ও মো. নাজমুল হুসেইন। তবে তারা এখনো কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি জুবায়ের আহমেদকে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুপিয়ে জখম করেন। পরদিন ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলা করে। তদন্ত শেষে পুলিশ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
হত্যাকাণ্ডের দেড় বছর পর ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। জুবায়ের নিহত হওয়ার পর ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে পদত্যাগে বাধ্য হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়কার ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির।
পরে এ বছরের ২৮ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক এবিএম নিজামুল হক রায়ের দিন ঠিক করেন ৪ ফেব্রুয়ারি। তবে ওই দিন রায় ঘোষণা না করে ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের তারিখ পুনর্নিধারণ করে আদালত।