স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃরাজধানীর আগারগাঁওয়ে হয়েছেন।রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাসচাপায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আলী মোহাম্মদ আলিফ
নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শতাধিক গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হওয়ার কথা জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর চালায়। দুপুর ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন রোডে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
এতে ওই এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। জানা গেছে, নিহত আলিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আলিফের গ্রামের বাড়ি বিবাড়িয়া। তিনি বাড্ডায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতেন। মঙ্গলবার তার পরিক্ষা ছিল। পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি বাড্ডা থেকে বাস যোগে শেরেবাংলায় আসছিলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশন সংলগ্ন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটের সামনে বাস থেকে নামার সময় পেছন থেকে একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে আলিফের মৃত্যুর খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা ক্যাস্পাস থেকে নির্বাচন কমিশন গেটের সামনে যেতে চাইলে পুলিশ ও ছাত্রলীগ তাদের বাধা দেয়। এ সময় কয়েক দফা পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কি হয়।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা পাসপোর্ট অফিসের সামনের রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের।
শিক্ষার্থীরা জানান, দোষি চালককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনে আওতায় না আনা প্রর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। বেলা ১২টায় আমাদের শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, পুলিশ বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ থেকে তুলে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানান, নিহত আলিফের লাশ এখনো পঙ্গু হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় বাস ও তার চালককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।