স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি রাজধানীর তিন থানায় পাঠানো হয়েছে। এগুলো হলো- রমনা, গুলশান ও ক্যান্টনমেন্ট থানা।
পরোয়ানা তিনটি থানায় পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে সংশ্লিষ্ট থানাগুলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি।
আজ বুধবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অপর দুই আসামিররা হলে, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার বিশেষ জজ আদালতে বেগম জিয়ার হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারন দেখিয়ে খলেদার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নাকচ এবং জামিন বাতিল করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে খলেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, এই আদালতের প্রতি আমাদের কোনো আস্থা নেই। এছাড়া তাঁর নিরাপত্তাও প্রশ্নবিদ্ধ।এর আগে যখন তিনি আদালতে আসেন তখন দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো থেকে শুরু করে গোলাগুলি হয়। ফলে আমরা সময়ের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আাদালত তা নাকচ করে ওয়ারেন্ট জারি করেছে।
আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তা আমরা পরে আলোচনা করে জানাবো।
সানাউল্লাহ মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ভাই কি বলবো যেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বালুর ট্রাক, সিমেন্টের ট্রাক দিয়ে সরকার অবরুদ্ধ করে রাখে। আমাদেরকে তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেন না। সেখানে সবকিছুই সম্ভব।আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।
উল্লেখ্য, এর আগে হরতাল-অবরোধের কারন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার আদালতে হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।