পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অধিকাংশ শারীরিক নৈকট্যকে প্রাধান্য … ? কারণ প্রতিটি মানুষ ভিন্ন ভিন্ন সত্ত্বা _ সময় সংবাদ বিডি ঢাকা।
পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক মানুষ অধিকাংশ শারীরিক নৈকট্যকে প্রাধান্য দেয়! সেটা প্রেমিক প্রেমিকা কিংবা বন্ধু বান্ধব, এমনকি স্বামী স্ত্রী হলেও।
শারীরিক দুরত্ব হলে সবকিছু উল্টো করে দেখে অনেক মানুষ। আসলে যার সাথে সম্পর্ক করি, তার সাথে আমরা মানসিক নৈকট্য লাভ করতে পারিনি। যার জন্য একটু দুরত্ব হলে,তার বদনাম করতে দ্বিধা করি না।
এটা সব শ্রেণীর মধ্যে একইভাবে দেখা যায়।
পরস্পরের সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করুন। প্রতিটি মানুষ ভিন্ন ভিন্ন সত্ত্বা। তারও একান্ত নিজের ভুবন আছে,তা ভাবুন। সেখানে তার নিজস্ব ভাল লাগা,মন্দ লাগা আছে। আর তা গুরুত্ব দিলেই তবে মানসিক নৈকট্য গাঢ় হবে।
শেক্সপিয়র বলেছিলেন , “একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না, কারণ এখানে আবেগ আছে , দৈহিক আকাঙ্খা আছে । “একই কথা বলেছেন আইরিশ কবি Oscar Wilde. “নারী এবং পুরুষের মাঝে কেবলই বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকা অসম্ভব । যা থাকতে পারে তা হলো আকাঙ্খা, দুর্বলতা, ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা।
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন , “ছেলে আর মেয়ে বন্ধু হতে পারে কিন্ত তারা অবশ্যই প্রেমে পড়বে । হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য অথবা ভুল সময়ে । কিংবা খুবই দেরিতে , আর না হয় সব সময়ের জন্য । তবে প্রেমে তারা পড়বেই ।
সত্যি বলতে, ছেলে ও মেয়েতে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব অসম্ভব ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ । কেননা শুধুমাত্র বন্ধুত্ব হলে প্রকৃতি নিজের অস্তিত্ব হারাবে। চুম্বক আর লোহা কখনো পাশাপাশি থাকতে পারে না। আকৃষ্ট করবেই। যদি কেউ তা এড়িয়ে যায় তবে সে ভণ্ডামি করছে নয়তো ধোঁকা দিচ্ছে । অথবা তার কোনো শারীরিক সমস্যা আছে।
আগুনের পাশে মোম গলবেই। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুত্ব হতে পারে , কিন্তু একসময় প্রেমে বা অবৈধ সম্পর্কে রুপ নিবেই। আর এটাই স্বাভাবিক । তথ্য সূত্রঃ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।