বাড়িঅপরাধ ও দুর্নীতিকুড়িগ্রামে জাল স্বাক্ষর ও ভুয়া কাগজ দাখিলে স্কুল শিক্ষক বরখাস্ত

কুড়িগ্রামে জাল স্বাক্ষর ও ভুয়া কাগজ দাখিলে স্কুল শিক্ষক বরখাস্ত

kurigram

রোকনুজ্জামান মানু,সময় সংবাদ বিডি-

কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে এক শিক্ষক সিলেকশন গ্রেড স্কেল প্রাপ্তির আশায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্তকৃত ওই শিক্ষক জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, উলিপুর উপজেলার দেলজানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি সুপার সিরাজুল ইসলাম অত্র প্রতিষ্ঠানে ২০০৪ সালে যোগদান করে। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত হন।

তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে সিলেকশন গ্রেড স্কেল প্রাপ্তির জন্য বিগত ২৮/০৬/২০১৪ইং তারিখে একটি ভুয়া রেজুলেশন সৃষ্টি করে সভাপতিসহ কমিটির সকল সদস্যগণের স্বাক্ষর জাল করে সিলেকশন গ্রেডের জন্য ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করে ০৯/১১/২০১৪ইং তারিখে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহোদয়ের দপ্তরে অনলাইনের মাধ্যমে প্রেরণ করেন।

বিষয়টি অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার জানতে পেরে ১১/০১/১৫ইং তারিখ ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকেন। ঐ সভায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগ করলে ১৪/০১/২০১৫ ইং তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার ভুয়া ও জাল স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজপত্র দাখিল করার কারণে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহ সুপারকে ৩ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

অপর দিকে তদন্ত প্রতিবেদনে ভুয়া কাগজপত্রের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ১২/০২/১৫ইং তারিখ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহ সুপার সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার শাহাজাহান হোসাইনি এবং সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুনছুর আলম খানের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বিধি মোতাবেক সহ সুপার সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অপরদিকে ঐ সহ সুপার জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সুপার এবং মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহোদয়কে আসামী করে উলিপুর সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-২৩/২০১৫, তারিখঃ ২৫/০১/২০১৫ইং।

এ বিষয়ে সহ সুপার সিরাজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Must Read

spot_img