স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ যখন কবি কবি ভাব নিয়ে উদাস নয়নে প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকি তখন আমাদের কাছে আমাদের চোখজোড়াই সবচাইতে বেশি মূল্যবান কিছু বলে মনে হতে থাকে। কিন্তু আমরা সত্যিকার অর্থেই চোখের ব্যাপারে অনেক বেশি উদাসীন। একেবারে প্রয়োজন বোধ না করলে আমরা চোখের ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না। কিন্তু আপনার এই উদাসীনতার কারণেই আপনার দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে পারে। তাই উদাসীন না থেকে একটু হলেও চোখের ব্যাপারে সর্তক থাকুন।
১) ভিটামিন এ, সি, ই এবং জিংক সমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়
পুষ্টিকর খাবার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো তেমনই ভালো চোখের স্বাস্থ্যের জন্য। ভিটামিন এ, ই, সি এবং জিংক সমৃদ্ধ খাবার চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভাবে কার্যকরী। বয়সের কারণে রাতকানা রোগ, মলিক্যুলার ডিগ্রেডেশন, চোখের দৃষ্টি কমে যাওয়া ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করবে এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার।
২) চোখের ব্যায়াম
কাজের ফাঁকে সময় বের করে নিন একটু হলেও। ২০ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট পর্যন্ত চোখ বন্ধ করে রাখুন। এতে করে চোখের রিলাক্স হবে। এছাড়াও চোখ ঘুরিয়ে উপর নিচ ডানে বামে তাকানো, দুই হাতের তালু ঘষে তালু গরম করে নিয়ে হাতের তালুতে চোখ ঢাকা ইত্যাদি চোখের ব্যায়াম চোখের জন্য বেশ ভালো।
৩) সরাসরি সূর্যালোক থেকে চোখকে বাঁচিয়ে চলুন
বাইরে বের হলে অবশ্যই সাথে সানগ্লাস রাখবেন এবং কখনোই সরাসরি সূর্যের আলোর দিকে তাকাবেন না। এতে করে সূর্যালোকের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারবেন।
৪) অল্প আলোতে কাজ করবেন না একেবারেই
অল্প আলোতে কাজ করার সময় চোখের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে, এছাড়াও যখন আলো অনেক বেশি উঠানামা করতে থাকে তখনও জোর করে কাজ করলে চোখের অনেক ক্ষতি হয়। তাই এইধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন।
৫) স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন যতোটা সম্ভব
টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে চোখ যতোটা দূরে রাখবেন ততোটাই আপনার চোখের জন্য ভালো। এবং প্রয়োজনে এইধরনের জিনিসগুলো একটি কম ব্যবহার করাই চোখের জন্য উপকারী।
৬) নিয়মিত চেকআপ
যদি আগে থেকে কোনো রোগ ধরে ফেলা যায় তাহলেই তা চিকিৎসার মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব। তাই বছরে ২ বার সাধারণ চেকআপের জন্য ডাক্তারের কাছে যান। এতে করে যদি চোখে কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়বে এবং আপনি বড় কোনো ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবেন।