মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর বারিধারা ক্যাম্পাসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ‘সাইবার নিরাপত্তা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সেমিনার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই ও আইটি বিভাগের প্রধান ড. সুপ্রতীপ ঘোষ।
আজ শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯.৩০টায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঝুঁকিহীন নিরাপদ সাইবার পরিবেশ গড়ার প্রত্যাশায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ‘‘সাইবার নিরাপত্তা’’ নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ হতে বাছাইকৃত ৭৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকগণদের নিয়ে সেমিনার আয়োজনের কর্মকান্ড চলছে।
এই সেমিনারে তথ্যপ্রযুক্তি আইন, অজামিনযোগ্য অপরাধ, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে কি করবেন, ইভটিজিং, ফেসবুক, তথ্যবিভ্রাট ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইটিএস-এর মাননীয় উপাচার্য ও কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথি ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমাদের জন্য আনন্দের সংবাদ যে, সাইবার ক্রাইম-এর মত সচেতনতামূলক বিষয় নিয়ে সেমিনার ইউআইটিএস ক্যাম্পাসেই প্রথমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দীর্ঘদিন ধরে আইটি ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। আউট সোর্সিং করে আয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রথম স্থান লাভ করে।
তিনি আরো বলেন, সাইবার ক্রাইম রাজনীতিতে যা হচ্ছে তা ভয়াবহ। সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এটা ম্যাজিক, এই ম্যাজিকের যাতে সদ্ব্যবহার হয় সেজন্যেই এই সাইবার ক্রাইম বিষয়ে আইন প্রণয়ন হচ্ছে এবং সেই আইনগুলো সম্পর্কে আজকের যারা তরুণ বিশেষ‘গণ তারা আপনাদের বলবেন। তা দেশের জন্যে, সমাজের জন্যে, পারিবারিক জীবনে, ব্যক্তিগত জীবনে, শিক্ষা জীবনে, সাংস্কৃতিক জীবনে সকল ক্ষেত্রে উপকারে আসবে।
বিশেষ অতিথি ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, কিভাবে, কোথায় সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে সে সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা নেই। আজকে বাংলাদেশ সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষ করে ইনসাইট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে যে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাতে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে আরো সচেতন হতে পারবো। জীবন আমাদের প্রযুক্তি নির্ভর, সেখানে অর্ধশিক্ষিত ও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রচুর, প্রযুক্তি হাতে নিয়ে এটার ব্যবহারগুলো যেভাবে শেখানো হয়, সেটার অপব্যবহারগুলো শেখানো হয় না। যে কারণে সাইবার অপরাধ একেবারে মহামারী আকারে আমাদের সমাজের সর্বত্র ধরা পড়েছে। এই সেমিনার সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে বড় ধরণের অবদান রাখতে পারবে।
প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ইনসাইট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-এর আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সূচনা ঘোটক এবং ট্রেইনার ও ইনোসিস সল্যুশন-এর সফটওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ইঞ্জিনিয়ার শামসুর রহিম।
অনুষ্ঠানশেষে পিয়ার টু পিয়ার স্কুল উদ্বোধন করেন উপচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ। এই স্কুলের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে নিজেদের অভি‘তা শেয়ার করার ও বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ইউআইটিএস-এর রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও পরিচালক প্রশাসন লে. কর্নেল (অব.) এ এফ এম খায়রুল বাসার, গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন খান এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।