স্টাফ রিপোর্টার, সময় সংবাদ বিডি-
ঢাকাঃআজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ‘ভ্যালেন্টাইন’ ডে’। আজ বিশ্বজুড়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দিনটি বিভিন্ন ভাবে পালিত হবে। মূলত প্রিয়জনকে ভালোবাসা নিবেদনের বিশেষ একটি দিন হিসেবে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ এ দিনে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে ভালোবাসা নিবেদন করা হয়। যদিও ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না।
বিশ্বজগতে ভালোবাসা ভিন্নরূপে নিবেদন করা হয়ে থাকে। যেমন মালয় ভাষায় ‘সায়া চিন্তা আওয়া’, হিন্দিতে ‘মেঁ তুমকো পেয়ার করতা হুঁ’, কোরিয়ায় ‘সায়া সিন টামো’, ইংরেজিতে ‘আই লাভ ইউ’, অর্থাৎ আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলার ধরণও নানা বৈচিত্র্যে ভরপুর। কিন্তু সবার উদ্দেশ্য একটাই, মনের মানুষের কাছে মনের ভাব প্রকাশ করা। আমরা বাঙ্গালিরা আমাদের নিজেদের মতো করে দিনটিকে সাজিয়ে নেই। কেউ বা ঘুরতে বের হন, কেউ দুরে কোথাও ঘুরতে যান, কেউ আবার বাসায় থাকতেই পছন্দ করেন।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে কেন্দ্র করে এবার আগেভাগেই নড়েচড়ে বসেছে ভারতের পশ্চিম-উত্তর প্রদেশগুলোর হিন্দু মহাসভা। তাদের ফতোয়া, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রণয়ী যুগলরা একসঙ্গে দিনটি উদযাপন করলেই তাদের ধরে বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে। কারণ, এ ধরনের পশ্চিমা সংস্কৃতি জনসমক্ষে উদযাপন করা ভারতের মতো দেশে শোভা পায় না। তাই এ ফতোয়াটি হিন্দু মহাসভার।
ফতোয়ায় বলা হয়, ভালোবাসা দিবসে কোনো প্রেমিক-প্রেমিকাকে গোলাপ ফুল হাতে দেখা গেলে বা কোনো পার্কের কোনায় আলিঙ্গনরত অবস্থায় পওয়া গেলেই তাদের আর্য সমাজের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে দেয়া হবে। যদি প্রেমিক ও প্রেমিকা এক ধর্মের বা গোত্রের না হয়, তাহলে তাদের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক গণমাধ্যমে জানান, ‘ভারতের মতো দেশে বছরের ৩৬৫ দিনই ভালোবাসার। তাহলে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপন করার প্রয়োজন কী আমরা ভালোবাসার বিপক্ষে নই। কিন্তু যারা একে অপরকে ভালোবাসে বলে দাবি করে, তাদের অবিলম্বে বিয়ে করা উচিত। যদি তারা আমাদের বলে, ভাবার জন্য সময় প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই তাদের একসঙ্গে ঘোরাফেরা করা উচিত নয়। আমরা ওদের অভিভাবকদেরও বিষয়টি জানাব’।
বিয়ে নিয়ে দ্বিধায় থাকা প্রেমিক-প্রেমিকাদের খুঁজে বের করার জন্য প্রায় ১০ দিন আগে থেকেই পশ্চিম-উত্তর প্রদেশগুলোতে বিভিন্ন দলও নিযুক্ত করেছে হিন্দু মহাসভা। ওই গোষ্ঠীর আগ্রার প্রতিনিধি মহেশ চন্দনা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘যদি ভারতের সব মানুষ হিন্দু হতো, তাহলে আমরা অসবর্ণ বিয়ে মেনে নিতাম। কিন্তু তা যেহেতু নয়, সেহেতু প্রেমীযুগলকে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যেতে হবে’।
এছাড়া জনান যায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এ বছর ভ্যালেন্টাইন’স ডেতে জোর করে বিয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকছে বজরং দল।
অন্যদিকে, হিন্দু মহাসভার মিরাটের প্রতিনিধি প-িত অশোক শর্মা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, যেসব হিন্দু অন্য ধর্মের প্রতি সহৃদয়, তাদের ‘ঘর ওয়াপসি’ প্রয়োজন, যাতে তারা অন্য কোনো ধর্মের অস্তিত্বই স্বীকার না করে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক মিরাটে গিয়ে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। (তথ্য সূত্র : জি-নিউজ/যায়যায়দিন- ০৯.০২.১৫)
জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে আগে ভালোবাসা দিবস ১৫ শতাব্দীর প্রথম দিকে ফ্রান্স থেকে শুরু হয়েছিল। তখন একজন যুবককে আগিন কোর্ট যুদ্ধে জেলে আটক করা হয়েছিল। সে তার স্ত্রীকে খুব মিস করছিল। আটককৃত ওই যুবক চিঠির মাধ্যমে ভালোবাসা ও মনের কথা স্ত্রীর কাছে প্রকাশ করে ।
এর প্রায় ২০০ বছর পর ‘গোলাপ ভালোবাসা’ দিবসের প্রতীক হিসেবে প্রচলিত হয়ে ওঠে। ফ্রান্সের রাজবংশের চতুর্থ হেনরির মেয়ের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সব পুরুষ-মহিলাকে গোলাপ দিতে শুরু করে। এভাবেই ভালোবাসা দিবসের ধারণা আস্তে আস্তে ইতালি, ফ্রান্স, ব্রিটেন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এদিন যে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ভালোবাসা বিনিময় বা প্রকাশ করা যায় তা নয়, বরং এ দিবস বিশ্বের সব ধরনের ভালোবাসার প্রকাশের দিন। ছেলেমেয়েরা এদিন বাবা-মাকে ভালোবাসা জানিয়ে থাকে, বন্ধু-বান্ধবীর মধ্যে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকে।
এ দিবসে চকোলেট, সুন্দর ফল, হদয়ের আকারের মিষ্টি উপহার হিসেবে সাধারণত মানুষের মধ্যে বিনিময় করা হয়। উপহারের মাধ্যমে বড় বা ছোট নির্বিশেষে, ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়।
বাংলা ব্যঞ্জন বর্ণের চার বর্ণে গঠিত একটি শব্দের নাম ‘ভালোবাসা’। যাকে আরবিতে ‘মুহাব্বত’ ও ইংরেজি ভাষায় ‘লাভ’ বলা হয়। যার অর্থ হচ্ছে, অনুভূতি, আকর্ষণ, হƒদয়ের টান; যা মানুষের অন্তরে আল্লাহপাক সৃষ্টিগতভাবে দিয়ে দেন। উইকিপিডিয়া মুক্ত বিশ্বকোষে ভালোবাসার সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে এভাবে ‘ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোনো মানুষের জন্য ¯েœহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়, বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এ ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন- নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। প্রকৃত অর্থে ভালোবাসা দুই ধরনের হয়ে থাকে- (১) বৈধ ও পবিত্র (২) অবৈধ ও অপবিত্র।
জনৈক্য কবি বলেন, ‘প্রেম প্রেম খেলেছে, এক পর্যায়ে বনে গেছে প্রেমিক। এরপর প্রেম যখন তাকে করেছে বিজয়, হয়েছে সে অপারগ, ভ্রমণ হয়েছে বিশাল ঢেউকে ছোট্ট বলে, ফলে যখন দাঁড়িয়েছে তাতে শক্তভাবে, গিয়েছে সে চির নিমজ্জনে।’
ভালোবাসা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, শুধুমাত্র অনুভূতি দিয়ে প্রকাশ করতে হয়। এটি একটি মানবিক অনুভূতি ও আবেগকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা। এর রং-রূপ-গন্ধ কিছুই নেই, আছে শুধু অনুভূতি। বিশেষ কোনো মানুষের জন্য ভালোবাসা ¯েœহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়তো এমন মুহূর্তকেই স্মরণ করে লিখেছিলেন, ‘দোহাই তোদের, এতটুকু চুপ কর/ভালোবাসিবারে, দে মোরে অবসর।’
জীবজগতের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক হল ভালোবাসা। যার শক্তিতে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত জয় করা যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি উচ্চরিত শব্দগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘ভালোবাসা’। একে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে একে ভাগ করা যায়। যেমন : ধর্মীয় ভালোবাসা, বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা প্রভৃতি। পৃথিবীর প্রত্যেকটি প্রাণীর মধ্যে ভালোবাসা বিদ্যমান। ভালোবাসায় আবেগী কামনা বা শারীরিক মিলন লিপ্সা একটা গৌণ বিষয। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশি গুরুত্ব বহন করে। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত মহব্বত প্রায় সময়ই খুব আনন্দদায়ক হতে পারে এমনকি কোনো কাজ বা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা। ভালোবাসা শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, সন্তান, পরিবার, সমাজ এমনকি দেশের জন্যও ভালোবাসা। তবে আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়, বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল অনুভূতি ভাগ করা, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস (সংক্ষেপে ভ্যালেন্টাইন’স ডে নামে পরিচিত) একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ ফেব্রুয়ারি; প্রেম ও অনুরাগের মধ্যে উদযাপিত করা হয়। দিবসটিকে ঘিরে বিশ্বব্যাপি রয়েছে নানা আয়োজন। এ দিনে প্রিয়জন তার ভালোবাসার মানুষকে ফুল, চিঠি, কার্ড, গহনা প্রভৃতি উপহার প্রদান করার মাধ্যমে দিনটি উদ্যাপন করে থাকে। খ্রিস্টানজগতে পাদ্রী-সাধু-সন্তদের কাজের স্মরণে কিছু জনপ্রিয় দিবস রয়েেেছ।
যেমন : ১৭ মার্চ- সেন্ট প যাট্রিক ডে, ২৩ এপ্রিল- সেন্ট জজ ডে, ২৪ আগস্ট- সেন্ট বার্থোলোমিজম ডে, ১ নভেম্বর- আল সেইন্টম ডে, ১১ নভেম্বর- সেন্ট মার্টিন ডে, ৩০ নভেম্বর- সেন্ট এন্ড্রু ডে প্রভৃতি। পরবর্তীতে খ্রিস্টিয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ হয়। এক সময় ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন করা থেকে বিরত থাকার জন্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাডা হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময় এ দিবস নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়। দেশে দেশে ভালোবাসা দিবস উৎসব বর্তমানে সারাবিশ্বে মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়। ইউরোপের সব দেশেই এ দিবস পালন করা হয়ে থাকে। মার্কিনিদের মধ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের হার বেশি। জরিপে দেখা গেছে, চার মার্কিনির মধ্যে তিনজনই দিবসটি পালন করে। আমেরিকায় এ দিনে ১৬ কোটি কার্ড, ১৩ কোটি গোলাপ বিনিময় হয়। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে দিবসটির জন্য কার্ড, ফুল, চকোলেট এবং অন্যান্য উপহারসামগ্রীসহ প্রায় ২৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।
উনিশ শতকেই উত্তর আমেরিকায় ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালন শুরু হয় ব্রিটিশ অভিবাসীদের মাধ্যমে। ব্যাপক হারে ভ্যালেন্টাইন কার্ড বিনিময় শুরু ১৮৪৭ সালে ম্যাসাসুয়টেসের অরকেস্টারে। চীনে ভালোবাসা প্রকাশের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের আগে তারা বছরের দুই দিন পালন করতো ভালোবাসা দিবস। এখন চীনে ব্যাপক হারে দিবসটি পালিত হয়। পশ্চিমা ধাঁচে ১৪ ফেব্রুয়ারিই তারা ভালোবাসা দিবস পালন করে। (তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট সময়ের বিবর্তন- ১৩.০২.২০১৩)
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই পারস্পরিক ভালোবাসা এবং সৌহাদ্র বিনিময়ের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি সবার জন্য উন্মুক্ত ভাবা হয়। যদিও ভালোবাসার কথা বা অনুভূতি আমরা প্রতিনিয়তই প্রকাশ করি। তবে ওই প্রকাশের মধ্যে কোনো ঘটা থাকে না, এ শুধুই একান্ত ব্যক্তিগত অনুভবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে বলে অনেকের মন্তব্য। কিন্তু ‘ভালোবাসা দিবস’ এ ভালোবাসা প্রকাশ ব্যক্তি গ-ির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, ‘ভালোবাসি’ অনুভূতিটুকু আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার মধ্যেই দিবসটি পালনের সার্থকতা নিহিত রয়েছে বলে অনেকের দাবি।
‘ভালোবাসি’ কথাটি মুখে বলেও প্রকাশ করা যায়, তবে ভালোবাসা নান্দনিক হয়ে ওঠে যদি ছোট্ট কোনো উপহারের মাধ্যমে তা জানানো যায়। ভালোবাসা মাখানো উপহার দিয়ে প্রিয়জনকে আরেকবার জানান দেওয়া, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। উপহার মহার্ঘ্য হয়ে ওঠে ভালোবাসার প্রলেপে। দামি দোকানে কাচের শোকেসে সাজিয়ে রাখা মূল্যবান হীরা জহরত থেকে শুরু করে বাগানের সদ্য প্রস্ফুটিত গোলাপটিও হতে পারে ‘ভালোবাসা দিবসের’ উপহার। তবে সবচেয়ে কাব্যিক এবং মর্যাদাপূর্ণ উপহার হচ্ছে রঙিন খামে চিঠি’ অথবা ‘বাগানের সদ্য প্রস্ফুটিত ফুল’। আর সে ফুল যদি হয় বাগানের তাজা গোলাপ, তাহলে তো কথাই নেই।
গোলাপ সষ্ট্রার এক অপরূপ সৃষ্টি। ফুলের রানী গোলাপ, কত রঙের গোলাপই আছে এই পৃথিবীতে। কতই না রঙের বাহার প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্যময় সৃষ্টির প্রতিটি রঙেই থাকে ভালোবাসার কথা। লাল, হলুদ, গোলাপি, কমলা, বেগুনি, সাদা, কালো, পিচ এবং আরও কত রং। প্রতিটি রঙের আলাদা আলাদা অর্থ থাকলেও মূল সুর ‘ভালোবাসি’। এ যেনো ‘ভালোবাসার সাত রং’। ভালোবাসার উপহার হিসেবে একগুচ্ছ গোলাপের গ্রহণযোগ্যতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। এ তো নিছক ফুলই নয়, এ যে প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে যোগাযোগের মেলবন্ধন, হƒদয়ের গভীরের উষ্ণ বার্তা বহনকারী মাধ্যম প্রথম ভালোবাসা জানাতে, হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার গৌরব ফিরিয়ে আনতে, গভীর ভালোবাসাকে আরও গভীরে পৌঁছে দিতে, কাউকে ভালোবাসা মিশ্রিত শ্রদ্ধা জানাতে, শত্রুর মন জয় করতে, বন্ধুর আনন্দের অংশীদার হতে, শোকার্তকে সহানুভূতিপূর্ণ ভালোবাসা জানাতে একগুচ্ছ গোলাপই যথেষ্ট।
আমরা আশা করি, আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর অফুরন্ত ভালোবাসায় ভরে উঠুক এবারের ভালোবাসা দিবসটি। যার ফলশ্রুতিতে যেনো চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তোরণে দেশ তথা জনগণের ত্রাহী অবস্থা নিরসনের সংলাপে উদ্যোগী হন রাজনৈতিক লিডারার। যাতে করে ক্ষমতার খড়কে শীল আর পাঠায় ঘষাঘষিতে কর্মসারা মসলার মতো অবস্থা না হয় এদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষগুলোর, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।